তিন পদে ৮ প্রার্থী, মোট ভোটার ৯৫,১২৭ জন

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ কাল

 এআর আব্বাস সিদ্দিকী

আপডেট: ২০২৪-০৫-০৭



কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ কাল

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। কাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। গত সোমবার ৮ টা পর্যন্ত ছিলো প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন। প্রার্থীরা শেষ সময় পর্যন্ত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে, পথে-ঘাটে, চা দোকানে কিংবা যাকে যেভাবেই পাচ্ছেন নিজ নিজ প্রতীকে ভোট কামনা করছেন। দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার সর্বত্রই যেনো উৎসব মুখর পরিস্থিতি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোন অভিযোগ উঠে নি।

কুতুবদিয়া জুড়ে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। পথসভা, মাইকিং, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত দিন পার করেছে প্রার্থী এবং প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা। প্রার্থীরা প্রত্যাশা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। প্রার্থীদের পাশাপাশি কুতুবদিয়ার সড়ক-উপসড়ক, পাড়া-মহল্লা কিংবা চায়ের দোকানগুলোতেও ভোটারদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন-রাত চলছে আড্ডা-গল্প ও নানান বিশ্লেষণ। তবে, এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমূখী। মোটরসাইকেল প্রতীকের সাথে আনারস প্রতীকের লড়াই হতে পারে। আবার কোথাও কোথাও মোটরসাইকেল প্রতীকের সাথে ঘোড়া প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও মোটরসাইকেল প্রতীক এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের সাথে চশমা প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বই প্রতীকও সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজনের মধ্যে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবে বলে জানা যায়। 

ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচনের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সবগুলো কেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্য ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে বেশি থাকবে।