পেকুয়ায় হামলার পর হামলায় ঘরবন্ধী কলেজ ছাত্রী ও প্রবাসী

 প্রতিনিধি

আপডেট: ২০২৪-০৯-৩০



পেকুয়ায় হামলার পর হামলায় ঘরবন্ধী কলেজ ছাত্রী ও প্রবাসী

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ফোরকানবাহিনীর (ইয়াবা ফোরকান) হামলার পর হামলায় ঘরবন্ধী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে কলেজ ছাত্রী নাসরিন সোলতানা হীরা ও প্রবাসী আজমগীর। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়ার পরও সুরাহা পাচ্ছে না এ প্রবাসী আজমগীর। পাচ্ছে না বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফোরকানবাহিনীর লোকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পেকুয়া চৌমহনীর প্রেস ক্লাবে এসে কান্না জড়িত কন্ঠে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন উপজেলা পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়ার প্রবাসী আজমগীর। যাদেরকে বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিয়েছেন।
প্রবাসী আজমগীর জানান, বিগত কয়েক মাস আগে দেশে আসার পর পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশি ফোরকান ও শাহাদত, পারভেজ, এরফান, এমরান মিজান, ও আলী হোছনসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা চলিত মাসের ৯ তারিখে লালজান পাড়া স্টেশনে হামলার শিকার চালায়। তাতে ক্ষান্ত না হয়ে সন্ধ্যা ৭ টায় ফের বসতবাড়িতে গিয়ে হামলার সময় আমার ভাগিনী কলেজ ছাত্রী নাসরিন আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও হামলা করে আহত করে। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে চাইলে আমাদেরকে গতিরোধ করে রাখে। আমি পেকুয়া থানার সহযোগিতা না পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহযোগিতায় পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি।  এসময় তারা ভীতি ছড়াতে ফাঁকা গুলি বর্ষণও করে। তাদের হামলার প্রতিকার পেতে প্রাশসনের কাছে অভিযোগ দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ১১ ও ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আমার বসতবাড়ির সামনে নির্মিত দোকান ঘর ও স্টোর রুমে আগুন জালিয়ে দেয়। ফলে ঐ ঘরে রক্ষিত ধান মাড়াই মেশিন ও পাম্প মেশিনসহ মূল্যবান মালামাল পুঁড়ে যায়। ফের গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভাগিনী  নাসরিন সোলতানা কলেজে গ্রুপ বিষয়ে সাজেশন নিতে বাধ্য হয়ে কলেজে গিয়ে আসার সময় ইয়াবা ফোরকানের বাহিনীরা বাড়ির সামনে আসা মাত্র পথরোধ করে হামলা চেষ্টা চালার সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় প্রাণে বাচে নাসরিন। তাদের হামলা চেষ্টার ভিডিও ধারণ করে স্থানীয়রা। যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। হামলা থেকে বাঁচতে এক প্রকার গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছি আমি ও ভাগিনী নাসরিন সোলতানা। ইয়াবা ফোরকানের হুমকির কারণে আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর দেশে এসে ফের বিদেশ চলে যায়। অন্ততঃ এক মাসও থাকতে পারেনি নিজ জন্মভূমিতে। তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশল অবলম্বন করে আমরা তিন প্রবাসী ভাইদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির কথিত অভিযোগ করে অপ-প্রচার চালিয়ে এমনকি আমাদেরকে বন্ধি করতে ২০ লক্ষ টাজার পুরুষ্কার ঘোষণাও করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ইয়াবা ফোরকান। দ্বিতীয় দফা হামলার সময় আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় জিয়াউর রহমান কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও টেকঘোনা পাড়ার হারুণের মেয়ে ভাগিনী নাসরিন সোলতানা হীরাও ইয়াবা ফোরকানের রোষানলে পড়ে ঘরবন্ধী। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভাগিনীর শিক্ষা গ্রহণ।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ফোরকান বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করছে প্রবাসী আজমগীর ও তার পরিবার।