দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএসপির বিবৃতি:

 প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আপডেট: ২০২৪-০৯-১৮



দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএসপির বিবৃতি:

উগ্রবাদীদের দমনে সরকার ব্যর্থ হলে সকল সুফি দরবারের সমন্বয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জশনে জুলুসে বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএসপি চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান গদীনশীন পীর, শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এর জশনে জুলুসে হামলা করে উগ্রতার চরম সীমা অতিক্রম করেছে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীরা।  কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়, ফেনীর দাগনভুঁইয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় উগ্রবাদীরা জশনে জুলুসে নৃশংস ও বর্বর হামলা করেছে। মুসলিম নামধারী ওই জঙ্গিদের হামলায় কুলিয়ারচরে ছয়সূতি মীরবাড়ির মীর জমির উদ্দিনের ছেলে মীর আরিফ মিলন (৫৫) শহীদ ও ৪০ জন আহত, কসবায় ২০ জন আহত ও দাগনভুঁইয়াতে ১১ জনসহ সারাদেশে আরো অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা  বর্বরোচিত এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও হামলাকারীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)'র জুলুসে হামলাকারী জঙ্গীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চায়। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, এভাবে একের পর এক হামলা মেনে নেওয়া যায় না, এসব হামলা ও হয়রানি সরকারের কর্মকান্ডকে ব্যাহত এবং বিতর্কিত করছে। তিনি আরও বলেন, মাজারে হামলা, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এর জশনে জুলুসে হামলা এগুলো সব একই সূত্রে গাঁথা। এই উগ্রপন্থীরা ধর্মীয় সম্প্রীতির সংস্কৃতি ও উদারপন্থী ধর্মীয় সকল জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাই অন্তর্বতী সরকারকে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুর ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর জশনে জুলুসে হামলাকারী উগ্রবাদীদের দমনে সরকার ব্যর্থ হলে দেশের সকল সুফি দরবার গুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার উচ্চারণ করেন সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী।