আপডেট: ২০২৪-০৯-১১
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানসহ ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল আমিন মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিসি) রাকিবুল ইসলাম, ডিসি মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিসি (সিটিএসবি) রাশেদা বেগম, তৎকালীন এডিসি সোনালী সেনসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেএমপির তৎকালীন এডিসি (সিটিএসবি) মনিরা খাতুন, তৎকালীন এসি ভাস্কর সাহা, তৎকালীন ডিবির ওসি মিজান, তৎকালীন এস আই শওকত (ডিবি), তৎকালীন কনস্টেবল সানা মিয়া (ডিবি), খালিশপুর থানার তৎকালীন ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন এস আই মিঠু দত্ত, তৎকালীন এএসআই সঞ্জয়, এ এস আই কুমারেশ, তৎকালীন এস আই সেলিম হোসেন (ডিবি), তৎকালীন এসআই রত্নেশ্বর মণ্ডল, তৎকালীন এসআই অরূপ কুমার মণ্ডল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিউল্লাহসহ ৮৬ জন। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী একেএম শহিদুল আলম শহিদ বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল প্রচারণা শেষে তার বাড়ি যান। সেখানে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লোকজন গাড়ি ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করেন। পুলিশ তাদের প্রত্যক্ষ মদদ দেন। এ কারণে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালত নালিশি মামলাটি গ্রহণ করে কেএমপি কমিশনারকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বলেছেন।
© Copyright https://ctgbulletin.net/
Developed By Muktodhara Technology Limited.