আপডেট: ২০২৪-০৯-০৮
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ শনিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গোলান ব্রিগেডের সদর দপ্তরে বেশকিছু রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এদিন হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জাবাল নেরিয়া গোলান ঘাঁটিতে কাতিউশা রকেট ছুঁড়েছে। হামলাটি লেবাননের ফ্রাউন গ্রামে ইসরাইলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলা এবং আবাসিক ভবনগুলোতে চালানো নৃশংসতার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।
জাবাল নেরিয়া ঘাঁটিটি বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গোলান ব্রিগেডের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
এর আগে শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায় যে, তারা ইসরাইলের মায়ান বারুচ সামরিক ঘাঁটি, জাবাদিন ব্যারাক এবং ইসরাইলি বাহিনীর ব্যবহৃত আল-মুতালা শহরের বেশ কয়েকটি ভবনে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় বর্বর ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ প্রতিদিন দখলদার বাহিনীর অবস্থানে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে আসছে। যার উদ্দেশ্য অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করা ইসরাইলি বাহিনীর বড় অংশকে তটস্থ রাখা এবং গাজায় প্রতিরোধকারী যোদ্ধাদের ওপর চাপ কমানো।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিও সম্প্রতি জানিয়েছে, আগস্ট মাসে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন থেকে দখলকৃত অঞ্চলের দিকে ১৩০৭টি রকেট ছুঁড়েছে। যা গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সংখ্যায় সর্বাধিক।
এদিকে হিজবুল্লাহ পরিচালিত লেবাননভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-মায়াদিন জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনীর হাদাব ইয়ারন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম হারেৎজও নিশ্চিত করেছে যে, দক্ষিণ লেবানন থেকে আল-জালিলের দিকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোঁড়া হয়েছে। তবে এতে ইসরাইলের কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
হিজবুল্লাহ শনিবার দুপুরেও হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আল-মায়াদিন। টিভি চ্যানেলটি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা এদিন স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪৫মিনিটে ইসরাইলের মিসগাভ আম সামরিক ঘাঁটির নজরদারি সরঞ্জাম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে সফলভাবে সেগুলো ধ্বংস করেছে।
হিজবুল্লাহর শক্তি বৃদ্ধি ও ইসরাইলের দুর্বলতা
হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শেইখ নাবিল কাওক বলেছেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী ফ্রন্টগুলোকে থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহর শক্তি, অস্ত্র এবং সদস্য সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে ইসরাইলি বাহিনী ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।
শেইখ নাবিল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেবল গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ হলেই উত্তর ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া ইসরাইলের বসতি স্থাপনকারীরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ প্রতিদিন হামলা চালিয়ে যে সমীকরণগুলো তৈরি করছে, সেগুলো থেকে ইসরাইল পালাতে পারছে না।
হিজবুল্লাহসহ প্রতিরোধের ফ্রন্টগুলো নীরব হবে না এবং গাজা রক্ষার ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহ অগ্রণী অবস্থানে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন শেইখ নাবিল। সূত্র: ইরনা ও আল-মায়াদিন
© Copyright https://ctgbulletin.net/
Developed By Muktodhara Technology Limited.