ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়া কানুনগোর ৬ বছরের কারাদণ্ড

 সিটিজি বুলেটিন ডেস্ক

আপডেট: ২০২৪-০৩-১১



ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়া কানুনগোর ৬ বছরের কারাদণ্ড

দুদকের হাতে ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়া কক্সবাজারের মহেশখালী ভূমি অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কানুনগো মো. আব্দুর রহমানকে (৩৪) ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এই রায় দেন। 

দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালত আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

‘এ ছাড়া ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় আসামিকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। আদেশে উভয় শাস্তি একত্রে চলবে বলে বলা হয়েছে।’ 

আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘এর আগে ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে সরাসরি ধরা পড়া আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।’ 

এর আগে ২০২১ সালে ১৯ জানুয়ারি এ মামলায় দুদকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালত আমলে নেন। ২০২২ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় মোট ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। 

আসামি এত দিন জামিনে ছিলেন। রোববার রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে রায়ে সাজা হওয়ার পর তাঁকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সেকান্দার বাদশাহ নামে এক ব্যক্তির বন্দোবস্তপ্রাপ্ত জমির নামজারি প্রতিবেদনের জন্য আসামি আব্দুর রহমান ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুদকের কাছে দেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি।

২০১৯ সালে ২৭ অক্টোবর ভুক্তভোগীকে নিয়ে চট্টগ্রাম দুদকের একটি ফাঁদ দল মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসে ওই ভারপ্রাপ্ত কানুনগো কাছে যান। এ সময় আসামি আব্দুর রহমান ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা গ্রহণের সময় তাঁকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ওই কর্মকর্তার টেবিলে তল্লাশি চালিয়ে আরও ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। 

সেখানে পাওয়া টাকার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত। এ ঘটনায় পরদিন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ন কবির বাদী হয়ে আব্দুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।