সাগরে ভাসল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি

 আনিচুর রহমান হিরো চৌধুরী ( কুতুবদিয়া)

আপডেট: ২০২৪-০১-২৯



সাগরে ভাসল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি বড় প্রমোদতরি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি থেকে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি ‘আইকন অব দ্য সিজ’। প্রথম যাত্রায় এতে যে–সংখ্যক যাত্রী উঠেছেন, তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান।

প্রমোদতরিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন। ফিনল্যান্ডের তুর্কুতে একটি শিপইয়ার্ডে এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৯০০ দিন। প্রমোদতরিটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে লম্বা। এটিতে ২০টি ডেক ও কামরা আছে, যেগুলোয় ৫ হাজার ৬০০-এর বেশি (সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৭ হাজার ৬০০) যাত্রী ধারণ করা যায়। এর ক্রুর সংখ্যা ২ হাজার ৩৫০।
যাত্রীরা যেন একঘেয়ে বোধ না করেন, তা নিশ্চিত করতে প্রমোদতরিতে বিভিন্ন ধরনের সুব্যবস্থা রয়েছে। এতে আছে ৭টি সুইমিংপুল, ৪০ হাজার গ্যালন পানির একটি ‘হ্রদ’, ৬টি ওয়াটার স্লাইড, একটি ক্যারোসেল এবং ৪০টির বেশি খাবারের জায়গা ও বার। এরপরও যদি যাত্রীর একঘেয়ে লাগে, তাহলে তারা হারিয়ে যেতে পারেন সুরের জগতে। প্রমোদতরিটিতে আছেন ৫০ জন সংগীতশিল্পী ও কমেডিয়ান। আছে অর্কেস্ট্রার আয়োজনও।

‘আইকন অব দ্য সিজ’ তৈরিতে খরচ পড়েছে ২০০ কোটি ডলার। এটিতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রমোদতরিটি পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) চলবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এলএনজি ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস লিক হয়ে পরিবেশ মিশে যেতে পারে।
রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রমোদতরিটিতে বেতারতরঙ্গ ব্যবস্থায় পরিচালিত পাইরোলাইসিস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বর্জ্যকে জ্বালানি গ্যাসে পরিণত করা হয়। জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে রিভার্স অসমোসিস ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

শনিবার প্রথম যাত্রার টিকিটগুলো সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। কোম্পানি বলেছে, টিকিটের জন্য নজিরবিহীন চাহিদা দেখা গেছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্যারিবীয় সাগরে ঘুরে বেড়ানোর পর মায়ামিতে ফিরে আসবে প্রমোদতরিটি।
আইকন অব দ্য সিজ’ ২০০০ ফুট (৩৬৫ মিটার) দীর্ঘ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরির খেতাব পাওয়ার আগে এ খেতাব যে জাহাজের ছিল, সেটিও রয়েল ক্যারিবিয়ানেরই তৈরি। সেটির নাম ‘ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ’।