কুতুবদিয়ায় থমকে গেছে লবণ উৎপাদন

 মো. জালাল উদ্দীন (পেকুয়া)

আপডেট: ২০২৪-০১-২৬



কুতুবদিয়ায় থমকে গেছে লবণ উৎপাদন

কুতুবদিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ সহ আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে থমকে গেছে লবণ উৎপাদন। গত সপ্তাহ জুড়ে চলা প্রাকৃতিক প্রতিকূল অবস্থায় কয়েক দিনের মধ্যে পরিবর্তন না হলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে লবণ চাষীরা। এদিকে, ন্যায্যমূল্য থাকায় লবন চাষীদের মনে নতুন স্বপ্ন জেগে ছিল। হঠাৎ প্রাকৃতির প্রতিকূলতায় তাদের কপালে আবারও চিন্তার  ভাজঁ পড়েছে। ন্যায্যমূল্য থাকলেও লবণ উৎপাদনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। তাই লবণের মাঠ থেকে উৎপাদনের মালামাল সামগ্রী গুছিয়ে রেখেছে। তবে, আবহাওয়া অনুকূলে আসলে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে চাষীদের।

বিসিক সূত্রে জানা যায়,  কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ একর। অর্থাৎ ১৬ হাজার ৭শ ৫০ কানি জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। গত বুধবার এসব জমিতে লবণ উৎপাদিত হয় ৪১ হাজার ৮শ মেট্রিকটন। অর্থাৎ প্রতি কানিতে প্রায় ৬৩ মন লবণ উৎপাদন হয়েছে।

লবণ চাষী ফারুক আহমেদ, জুবায়ের হোসেন, আব্দু রশিদ বলেন, লবণের মাঠ থেকে পলিথিনসহ সব মালামাল সামগ্রী গুছিয়ে রেখেছি। যখন আবহাওয়া অনুকূলে আসবে তখন তারা লবণ উৎপাদনে কাজ করবে। আবার কিছু চাষী বেকার বসে থাকার চেয়ে অল্প লবণ উৎপাদন হলেও পকেট খরচের আশায় মাঠ ছাড়েনি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) কুতুবদিয়ার লবণ প্রদর্শনীর পরিদর্শক জাকের হোছাইন দৈনিক রূপসীগ্রামকে বলেন, যেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ মন লবণ উৎপাদিত হয়। সেখানে মাত্র ৫০ থেকে ৬৩ মন লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। উৎপাদন কম হলেও লবণের ন্যায্যমূল্য রয়েছে। তবে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিক লবণ উৎপাদন করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।